ঢাকাসহ সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে (ডেভিল হান্ট) গত শুক্রবার ৪৭৭ জনসহ সারাদেশে মোট এক হাজার ৩৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিশেষ এই অভিযানে বিদেশী পিস্তল একটি, ম্যাগজিন দুইটি, গুলি ২০ রাউন্ড, ছুরি ২০টি, রামদা ২টি ও হেমার ৩টি উদ্ধার করা হয়। বিশেষ এই অভিযানের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৮৭০ জন জন রয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি পতিত স্বৌরশাসক শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং ভারতে পলাতক আ.ক.ম. মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলার শিকার হন প্রায় ৩০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়।
খবর পেয়ে সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত হন। সেখানে সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, ফ্যাসিবাদের লোকজনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এছাড়াও অন্যান্য নেতারা দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে সেখানে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পরদিন শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ওইদিন রাত ১২টা থেকে দেশ জুড়ে যৌথ বাহিনী অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর কথা জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে যাদের বেশিরভাগই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য।
এ নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আট দিনে সারাদেশে এই অভিযানে মোট ৪ হাজার ৪০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।