মহান আল্লাহর দরবারে গভীর আকুতি জানিয়ে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার দুপুরে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা, ঐক্য, মুক্তি এবং ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করা হয়।
গভীর আবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় টঙ্গীর ইজতেমা প্রাঙ্গণ। দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসলমান মোনাজাতে শরিক হন।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন নিজামুদ্দিন মারকাযের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। তিনি বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভির বড় ছেলে।
দুপুর ১২টা ৩৭ থেকে ১টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী মোনাজাতে লাখোকণ্ঠে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা স্বীয় কৃতর্কমের জন্য আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মুঠোফোনে এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরো লাখ লাখ মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন।
সকাল থেকে দিকনির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখো মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে। কাছের অথবা দূরের মুসল্লিরা নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে বা বসে আল্লাহর দরবারে হাত তোলেন।
টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরা, সাভার, কামারপাড়া, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক নারী সরাসরি আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। অনেকে মোনাজাতে অংশ নেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ডিভাইডার, টঙ্গী-কামারপাড়া সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় বসে।
মোনাজাত শেষে লাখ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ময়দান থেকে বের হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ, টঙ্গী-কালীগঞ্জ ও টঙ্গী-কামারপাড়া রোডে প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়।
এ আয়োজনের বিষয়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, খুব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।