বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৪১
গুঁড়িয়ে দেওয়া বগুড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে ‘আওয়ামী আবু জাহেল টয়লেট’ নির্মাণ ও জাসদ কার্যালয়কে বানানো হবে মসজিদ বলে ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এই ঘোষণা দিয়ে সেখানে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধীদের পক্ষে ডা. আবদুল্লাহ সানি বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদের নামে এখানে ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ স্থাপন করা হবে। এর আগে ওই জায়গার মালিকানা দাবি করে এক ব্যক্তির লাগানো ব্যানার খুলে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিপুল সংখ্যক তরুণ-যুবক ‘ছাত্র-জনতার’ নামে শহরের আদালতপাড়ায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবেশ করেন। তারা ১২তলা ভবনের নিচতলায় শেখ হাসিনার নামফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেন।
এরপর তারা পাশেই জেলা জাসদ ও শ্রমিক জোট কার্যালয় ভাঙচুর করেন। পরে তারা অফিসের ভেতর থেকে আসবাবপত্র বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া জাসদ কার্যালয়ের জায়গা নিজেদের দাবি করে কয়েকজন ব্যক্তি শনিবার দুপুরে সেখানে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। তাদের পক্ষে মিজানুর রহমান ও মোখলেসুর রহমান দাবি করেন, এ সম্পত্তি ১৯৫২ সালে তাদের দাদার কেনা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জায়গাটি বেহাত হয়। পরে জাসদ দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। ওই জায়গায় রাজনৈতিক কার্যালয় থাকায় তারা এতদিন দখল নিতে পারেননি। এখন স্থাপনা ভেঙে ফেলায় দখল নিতে এসেছেন।
গুঁড়িয়ে দেওয়া জাসদ কার্যালয়ের জায়গায় মসজিদ স্থাপন প্রসঙ্গে ডা. আবদুল্লাহ সানি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক শহীদ আবু সাঈদের বাবা তার সন্তানের কোন মূর্তি না বানাতে অনুরোধ করেছিলেন। পারলে তার ছেলের নামে মসজিদ করতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শহরের সাতমাথার এ জায়গায় আবু সাঈদ জামে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ছাড়া পাশেই আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকা জায়গায় ‘আওয়ামী আবু জাহেল টয়লেট’ নির্মাণ করা হবে।