যেকোনো পরিস্থিতিতে কোনো সরকার যাতে আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা বা পলিসি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে’ করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে মোবাইল সেবায় অনেক বাধা তৈরি করা হয়েছ। এসব বাধা শিগগিরই দূর করা হবে। এছাড়া মোবাইল ও আইএসপি অপারেটরদের ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএসের বেশি হওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
এদিকে স্টারলিংক এর বিপরীতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিজেদেরকেই নিজের সুরক্ষা তৈরি করতে হবে। এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে টেলিকম খাতের ব্র্যান্ড ও মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়াতে সতর্ক করে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারি বলেন, সবগুলো লেয়ারকে বলছি, ডাটা প্রাইস কমাতে হবে। সবাইকে সমন্বিত ভাবে রিফর্ম করতে হবে। ৫ এমবিপিএস-কে আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্রডব্যান্ড বলি না। আমি মনে করি ২০ এমবিপিএসের ওপরে গতি থাকলে সেটিই ব্রডব্যান্ড।
এসময় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির বিশেষ সহকারি ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ইন্টারনেট ও অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন বেসিক রাইট। এই অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সবসময় সরকারের পাশে থাকবে। বিগত সরকার দেশের টেলিকম খাতকে দুর্নীতি ও কো-আর্সির মাধ্যমে গিলেফেলেছিলো। তাই এখন পলিসি কাজ করছে না। এটা রিফর্ম করতে হবে। আমলারা এক্ষেত্রে বাঁধ সাধতে পারে। তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
আইসিসি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইএসপিএবি’র সাবেক জ্যৈষ্ঠ সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মাহতাব উদ্দিন, আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিডি জবস এর সিইও ফাহিম মাশরুর, আইএসপিএবি’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) হেলাল উদ্দিন, বেসিস এর অ্যাসোসিয়েট কমিটির সভাপতি রাফেল কবির, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসির, গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডাইরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত, ইকোনমিক রেগুলেশনের ডিরেক্টর শাহ মো. ফজলে খুদা প্রমূখ।