ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতিসহ নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গাঁজা কিনতেই তারা বাসে ডাকাতি করেছেন বলে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আহসানুজ্জামান।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সবুজ ও শরীফ। পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন শহিদুল।
এসআই আহসানুজ্জামান বলেন, ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্তরা মাদকসেবী ও একাধিক মামলার আসামি। চুরি-ছিনতাই করা মোবাইল বেচে সাভার এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা গাঁজা কেনেন। সম্প্রতি বিক্রি করা এমন একটি মোবাইলের সূত্র ধরে এ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আলোচিত ডাকাতি ঘটনার সঙ্গে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন দুজন।
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনার তিনদিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুর থানায় মামলা করেন যাত্রী ওমর আলী। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চকবড়াইগ্রাম গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।
মামলাটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়ার কথা জানান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এরপর মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার-মুঠোফোনসহ সোয়া পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার ও মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।