বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে জুলাই আন্দোলন দমনের চেষ্টায় জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন সার্বভৌমত্ব আন্দোলন।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক ফরিদ আহম্মেদ ও শামীম রেজা।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা জুলাই বিপ্লবের সময় দেশের গুরুত্বপুর্ন স্থানে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সেবা বন্ধ করে দেশকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করে গণঅভ্যূত্থাানকে নস্যাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও গণহত্যা চালিয়েছিলেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও সাভার এলাকা অন্যতম।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর দমন নিপীড়ন করেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৬ ও ১৭ জুলাই রাতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, সাবেক মেম্বার দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পরিচালক রফিকুল ইসলাম,পরিচালক শফিকুর রহমান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার, পরিচালক এ কে এম ইস্কান্দার আলী, সাবেক নির্বাহী পরিচালক আসাফউদ্দৌলা, উপ-পরিচালক কারিগরি নুরুন্নবী, প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহিম মল্লিক, বিশেষ করে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার জনাব মোল্লা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সদস্য আব্দুর রউফ মিয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশপাশের অঞ্চলের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন।
এতে আরো বলা হয়, একইভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর নুরুল আলম,সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর আলমগীর হোসেন, সাবেক প্রভোস্ট কমিটি সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাবেক রেজিস্টার অধ্যাপক আবুল হাসান এর প্রত্যক্ষ মদদে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগ এর ৫ শতাধিক নেতাকর্মী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ সাভার এলাকায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নিকৃষ্ট ও ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শত শত ছাত্র জনতাকে পেটানো, হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়।
অবিলম্বে উল্লেখিত জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।