আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের পর শহীদ সেনা অফিসারদের পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কর্মীরা। পাশাপাশি এসব পরিবারের সদস্যদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানান ধরনের মিথ্যা তথ্য এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বুধবার মহাখালী রাওয়া ক্লাবের লেডিস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নবগঠিত সংগঠনের আহ্বায়ক নেহেরিন ফেরদৌসী। তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ কর্ণেল মজিবুল হকের স্ত্রী।
এসময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
নেহেরিন ফেরদৌসী জানান, নতুন সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং শহীদ পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে শহীদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে। এই ধারাবাহিকতায় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহীদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য www.shaheedshenaassociation.com ওয়েবসাইটে এবং শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেজে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে। এই সংগঠন মিলাদ মাহফিল, প্রদর্শনী, বই প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শহীদ অফিসারদের নিজ নিজ অবদান তুলে ধরা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সেনা পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।