মালয়েশিয়া প্রবাসীদের তথ্য পাচার এবং শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠান ইএসকেএল-এর কার্যক্রম বন্ধসহ ৪ দফা জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের মালয়েশিয়া শাখা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানায়। এসময় লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মালয়েশিয়া শাখার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালয়েশিয়া প্রবাসী আল মামুন বলেন, মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের শেখ পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট মালয়েশিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ESKL-এর তথ্য পাচার ও জালিয়াতির ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এসময় তিনি বলেন, চলতি মাসের ২৬তারিখে দৈনিক আমার দেশ-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, লাখ লাখ মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড.ইউনূস নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গত ডিসেম্বরে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। কিন্তু তাবিথ আওয়াল প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আবারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযুক্ত এবং ১৫ লক্ষ মালয়েশিয়া প্রবাসীর ব্যক্তিগত তথ্য পাচারে জড়িত কোম্পানিটিকে। প্রতিষ্ঠানটি শেখ পরিবারের জালিয়াতি ব্যবসা রক্ষার নতুন কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
লিখি বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নিউজে আরও উল্লেখ আছে যে, একজন রহস্যময় আমেরিকান নাগরিক “তাবিথ আওয়াল” এই কার্যক্রমে সরাসরি জড়িত। কোম্পানিটির মালিকানায় তাবিথ আওয়াল, শেখ পরিবারের লোকজন, নুরে আমল, নিক্সন চৌধুরী, শেখ রেহেনা। এছাড়া, আমাদের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর, পররাষ্ট্র সচিব জসীমউদ্দীন, গিয়াস উদ্দিন এই দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে সরাসরি যুক্ত।
এছাড়াও তাদের দাবিগুলো হলো, ইসকেএল-এর কার্যক্রম অবিলম্বে চিরতরে বন্ধ করা হোক, তাবিথ আওয়াল, খোরশেদ আলম খাস্তগীর, জসীমউদ্দীন ও গিয়াস উদ্দিনসহ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও নিরাপদ পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে হবে ও মালয়েশিয়া হাইকমিশনে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করে সেবার মান বাড়ানো হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো: শাহাব উদ্দীন শিহাব, কেন্দ্রীয় মানবপাচার প্রতিরোধ ও পুনর্বাসন সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, লিমন খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।