সাত বছর আগে ঢাকার দোহারের বানাঘাটা গ্রামে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও গলাকেটে হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড দেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. এরশাদ আলম জর্জ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী জিয়াউর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ডাদেশ দেন আদালত। অর্থদণ্ড আদায়ে আসামীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে দেয়া জন্যে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, আসামী জিয়াউর রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা সহ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকার দোহারে বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে।
মামলায় অভিযোগ, ২০১৮ সালে ২১অক্টোবর রিপন শরিফ এর বারো বছরের পালিত কন্যাকে তাদের বাড়ীর পাশের সবজি ক্ষেত থেকে ফেরার পথে আসামী জিয়াউর রহমান তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধইঞ্চা ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমের গলা কেটে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর আসামী জিয়াউর রহমান ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় দায় স্বিকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন।