আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশকে ভঙ্গুর অবস্থায় রেখে গেছে। আর তা থেকে উত্তরণ এবং ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করতে যেমন রাষ্ট্র সংস্কার প্রয়োজন তেমনি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতীয় নির্বাচনও প্রয়োজন। অন্তবর্তী সরকার অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে। নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে এবং ইসলামের পক্ষে একটি ভোটের বাক্স থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা।
রোববার রাজধানীর লালবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের উদ্যোগে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি মাওলানা সৈয়দ ইসহাক মো. আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিশে শুরার সদস্য মাওলানা আলী আজম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি সামছুল আলম প্রমুখ।
দলটির নেতারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপরাধ সংঘটিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। এ পরিস্থিতিতে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কোরআন সুন্নাহর শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যেই ইসলামী ঐক্যজোটসহ সমমনা ইসলামী দলগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন ঘটনা বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে অতিদ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।