আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, যেদিন প্রকৌশলীরা শতভাগ সৎ হতে পারবেন সেদিন তারা সরকারে নীতি নির্ধারণী ভূমিকা নিতে পারবেন। যে কোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য নীতি নির্ধারণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের একটি জাতীয় সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) আয়োজিত ‘লুপহোলস অব আনব্যান ইনফ্রাস্ট্রাকচার অব বাংলাদেশ : আইজ অব এন এক্সপেট্রিয়েট বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আজকের সেমিনারের বিষয়ের দুটি ইস্যু। একটি হলো প্রকৌশলগত, অন্যটি গভর্ন্যান্স ইস্যু। প্রকৌশলগত দিকে ডিজাইনের দুর্বলতা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। দীর্ঘ কর্মজীবনে দেখেছি ডিজাইনের দুর্বলতা নিয়ে অনেক বিতর্ক, তবে বুদ্ধি বিবেচনায় সেরাটা নেওয়া যেতে পারে। এরপরও ডিজাইনের ভুলের জন্য জবাবদিহি থাকা দরকার।
সমন্বিত পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ডিজাইনের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে গভর্ন্যান্সের সমস্যা। এখানে আবার দুটি মূল সমস্যা- আমলাতান্ত্রিক ও প্রকৌশলী না হয়েও প্রকৌশলগত পদে আসীন হওয়া। প্রকৌশলগত কাজগুলো প্রকৌশলীদের দ্বারাই করাতে হবে। এটা করতে পারলেই টেকসই ডেভেলপমেন্ট সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অরাজনৈতিক সরকারের সময়ে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর এমন অনেক প্ল্যান ও ডিজাইন অনুমোদন করিয়ে নিতে পারেন প্রকৌশলীরা। কেননা, হয়তো দশ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে এই সরকার বিদায় নিতে পারে। তখন রাজনৈতিক সরকারের আমলে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রকৌশলীদের জন্য কঠিন হবে।
আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডার অন্টারিওর আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ড্রেনেজ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী শহীদুল হক পিইঞ্জ।