বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন

মানব ভ্রাতৃত্ব বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

রিপোটারের নাম / ৭৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ২০: ৫৯

চলতি বছরের ১২-১৩ সেপ্টেম্বর ভ্যাটিকান সিটিতে অনুষ্ঠিতব্য মানব ভ্রাতৃত্ব সম্পর্কিত বিশ্ব সভায় যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হোলি সি পোপ ফ্রান্সিস।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে আমন্ত্রণটি পৌঁছে দেন ভ্যাটিকানের ফন্ডাজিওন ফ্রাটেলি টুট্টির সাধারণ সম্পাদক ফাদার ফ্রান্সেস্কো ওচেটা।

এ সময় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের বিশ্বব্যাপী প্রভাবের প্রতি উচ্চ শ্রদ্ধা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনি একজন শীর্ষ নেতা; আপনি একজন চমৎকার ব্যক্তিত্ব।

মানব ভ্রাতৃত্ব সম্পর্কিত বিশ্ব সম্মেলন হবে একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ যেখানে ঐক্য, শান্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাবিদরা একত্রিত হবেন।

এই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ‘মানবতার দলিলের’-এর খসড়া তৈরি, যা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সার্বজনীন নীতিমালার রূপরেখা এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহানুভূতিশীল বিশ্বের জন্য পোপ ফ্রান্সিসের স্বপ্নে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি নতুন মানব সনদ সংজ্ঞায়িত করবে।

সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এটি সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বিশাল সমাবেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক কনসার্ট, আলোচনা ও মানব ভ্রাতৃত্বের নীতিগুলোকে পুনর্ব্যক্ত করে প্রতীকী মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনাও থাকবে।

ওচেটা এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে জানান যে, উল্লেখযোগ্য বিশ্বনেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস আলোচনাকালে পোপ ফ্রান্সিসের সুস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,‘পোপ একজন অসাধারণ মানুষ।’

ওচেটা বাংলাদেশের প্রতি ফাউন্ডেশনের কৃতজ্ঞতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা এখানে কেবল আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসিনি বরং বাংলাদেশের প্রতি আমাদের সমর্থন, মনোযোগ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতেও এসেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ওচেটাকে ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তার প্রত্যাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এ অনুষ্ঠানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

অধ্যাপক ইউনূসের তিনটি শূন্য নীতি -‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নিট কার্বন নির্গমন’ সম্পর্কে ভ্যাটিকানের স্বীকৃতি তার রূপান্তরকামী নেতৃত্ব এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ