২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম
১৫ বছর ধরে জাতীয় দিবস তথা ভাষা শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস মুজিব বন্দনার নিয়ন্ত্রিত ছিল। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো মানুষ নিজেদের মতো করেই পালন করতেন। কারণ জাতীয় দিবসগুলোকে এক ব্যক্তির বন্দনা মানুষ মেনে নিতে পারতেন না। ৫ আগস্টের পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এবার দেশের সর্বস্তরের মানুষ মুক্ত পরিবেশে, নিয়ন্ত্রণহীনতায় ভয়মুক্ত চেতনায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছেন। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছিল। একই ভাবে বাংলা একাডেমির একুশে বই মেলায় দেখা গেছে লাখো মানুষের প্রাণের স্পন্দন। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বইমেলায় উপচে পড়েছিল দর্শনার্থীর ভিড়। এ যেন বন্ধনহীন মুক্ত মানুষের প্রাণের উচ্ছাস।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার আওয়ামী লীগের ‘মুজিব বন্দনার বাধ্যবাধকতা মুক্ত’ পরিবেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন সেই শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে জাতি। দিবসটিতে হাজারো মানুষ খালি পায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোর থেকেই প্রভাতফেরি করে সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধার ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা কয়েকজন জানান, এতোদিন আওয়ামী লীগ জাতীয় দিবসগুলোকে কুক্ষিগত করে ‘মুজিব বন্দনা’র বাধ্যবাধকতা করায় নিজেদের মতো করে দিবসগুলো পালন করেছি। এবার ফ্যাসিস্টমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশে ম্ক্তু বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে হাজির হয়েছি। বিগত ১৫ বছর শহীদ মিনারে ভয়ভীতি ছিল এখন সেটা নেই।