জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি ও অন্য সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীন সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরো জানানো হয়-কমিশনের কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
এদিকে পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ঐকমত্য কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। আগের প্রজ্ঞাপনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সাচিবিক দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছিল।
৬টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সাথে ঐক্যমত্য গঠনের লক্ষ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। কমিটির সহ-সভাপতি হচ্ছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এছাড়া অন্য সদস্যরা হচ্ছেন-জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী,পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস।