শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, রক্তের মাধ্যমে আমাদের সব অর্জন করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা সফলতা ধরে রাখতে পারি নাই। ২০২৪ সালে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধরে রাখতে সব কিছু করতে হবে। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার জন্য যারা রক্ত ও জীবন দিয়েছেন তাদের তালিকা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেছেন, মাতৃভাষা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত। মাতৃভাষা একটি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে সু-উচ্চ স্থানে রাখতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মহাপরিচালক আ. ছালাম খান পবিত্র কোরআনের সুরা আর-রহমানের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। এর জন্য ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মহাপরিচালক বলেন, মাতৃভাষা একটি জাতির গোষ্ঠীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয় বিভাগের পরিচালক মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এস এম শফিউল আলম তালুকদার, দারল আরকাম ইবাদতেদায়ি মাদ্রাসা প্রকল্পের পরিচালক আব্দুস সবুর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরচালক তৌহিদুল আনোয়ার, রেজ্জাকুল হায়দার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ভাষা আন্দোলনের শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় দেশের শান্তি, কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্য মোনাজাত করা হয়।