আর্লিং হালান্ডের ডাবল গোলের নৈপুণ্যে এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। লিডটা তারা ধরে রেখেছিল ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। রিয়ালের সঙ্গে তাদের ব্যবধানটা ছিল ২-১ ব্যবধানের। শেষ দিকে খেলায় ফেরার অভ্যাস যাদের, তাদের আবার কিসের ভয়! তাই তো করে দেখাল রিয়াল। হালান্ডের জোড়া গোলের মাঝে ফেরার রসদ যুগিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে- দলের হয়ে প্রথম গোল করে। রোমাঞ্চ শেষে ৩-২ গোলের জয়ে শেষ হাসিটা হাসল অতিথি রিয়ালই।
নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসটা ধরে রেখে রিয়াল ফের লিখল প্রত্যাবর্তনের অনন্য এক গল্প। ৮৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ব্রাহিম দিয়াজ সিটির জালে দিলেন সমতাসূচক গোল। মাঠের রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর ঠিক আগে ইনজুরি টাইমে (৯০+২ মিনিটে) ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে জুড বেলিংহাম কাঁপান প্রতিপক্ষের জাল।
রিয়ালের আক্রমণ ত্রিফলা দ্যুতি ছড়াতেই মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ ইতেহাদে ঝলসে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। দাপুটে জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে এক পা দিয়ে রাখল কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের প্লে-অফ পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোস শিবির সিটিকে আতিথ্য দেবে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।