সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

স্বনির্ভর সুন্দরবন গড়ার স্বপ্ন আঁখির

রিপোটারের নাম / ৭১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মোহনা জাহ্নবী
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫৩
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২: ১৯

জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুন্সীগঞ্জে হলেও সুন্দরবনের আলো-বাতাসে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন আঁখি সিদ্দিকা। যিনি নিজের দৃঢ়তায় জয় করেছেন সব বন্ধুর পথ। তিনি শুধু নিজের জীবনই আলোকিত করেননি, আলোয় ভরিয়ে তুলেছেন আরো অনেকের জীবন। মাত্র আট মাস বয়সে পোলিও আক্রান্ত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার আঁখি কীভাবে সুন্দরবনের অনেক মানুষের জীবন সুন্দর করে তুললেন, সেসব নিয়ে লিখেছেন মোহনা জাহ্নবী

হার না মানার গল্প

আঁখির জন্ম হয়েছিল রক্ষণশীল পরিবারে। যেহেতু তিনি অসুস্থ, তাই পঞ্চম শ্রেণির পর পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত এলো লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ার। পরিবারের আর কেউ পাশে না থাকলেও তার মা সব সময় পাশে ছিলেন, তাই তার পড়া বন্ধ হলো না। একসময় বাড়ির বারান্দায় তিনটি বেঞ্চ পেতে চক আর ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে একটা কোচিং সেন্টার খুললেন তিনি। নাম দিলেন ‘আত্মবিশ্বাস কোচিং সেন্টার’। কোচিং থেকে সামান্য আয় হতে লাগল।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই পরিবার থেকে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। দুবছর পর সেই সংসার ভেঙে গেলেও তিনি ভেঙে যাননি। সিটি করপোরেশনের কাছে খবর পৌঁছাল তার সংগ্রামের কথা। তারা তাকে তিনটি স্কুলের দায়িত্ব দিল। একটি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ‘মুকুলিত খুলনা’, একটি হার্ড টু রিচ প্রোগ্রামের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের, আরেকটি এনজিওর পথশিশুদের স্কুল। এভাবেই চলতে থাকে আঁখির এগিয়ে চলার গল্প। অনার্স প্রথম বর্ষে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) যোগ দেন আঁখি। চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যান। নিজের অন্য ভাইবোনকেও পড়ার সুযোগ করে দেন। তারপর কাজ শুরু করেন সমাজের অসহায় নারীদের নিয়ে।

সুন্দরবনের নারীর ভাগ্যবদল

আঁখি সুন্দরবনে প্রথমে যান ২০১৫ সালে, গবেষণার কাজে। এরপর সুন্দরবনের মায়ায় পড়ে সে বছরই বদলি হয়ে পাঁচ বছর খুলনায় থাকেন। স্বনির্ভর সুন্দরবন গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাওয়া আঁখি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ‘ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ’-এ (আইসিবি) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজধানীতে থাকলেও সুন্দরবন ও তার মানুষের টানে এখনো প্রতিনিয়ত তিনি ছুটে যান সেখানে।

সুন্দরবনের ঢাংমারি গ্রামের নারীরা মাছ ধরার কাজ করতেন। কিন্তু মাছ ধরতে গিয়ে লবণাক্ত পানিতে নারীদের জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাই ‘গ্রিন ভয়েস’ নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামের নারীদের জন্য সেলাই মেশিন কেনা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেন আঁখি। সেলাই কাজ করে যা টাকা আয় হতো, সবাই সেই টাকার একটা অংশ একটু একটু করে জমিয়ে অন্য এক নারীকে সেলাই মেশিন কিনে দিতেন।

এরপর সেই গ্রামে ইকো রিসোর্ট তৈরির ব্যবস্থা করেন আঁখি। সেখানে নারীদের বিভিন্ন কাজে যুক্ত করেন। এভাবে স্বাবলম্বিতা অর্জনে গ্রামের নারীরা অন্য কাজে যুক্ত হন।

একাধিক উদ্যোগ

২০০৮ সাল। আঁখি তখন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন সংগঠন থেকে সহযোগিতা এনে শুরু করেন ইকো ট্যুরিজম, ভিলেজ ট্যুরিজম এবং রিভার ট্যুরিজম। বন ও নদীকে বাঁচাতে মানুষের ভেতর সচেতনতা তৈরি করতে লাগলেন। তার সচেতনতার জন্য সেখানকার মানুষ আর বিষ দিয়ে মাছ ধরেন না, হরিণের ফাঁদ পাতেন না। গ্রামের নারীদের তিনি শিখিয়েছেন গবাদি পশু পালনের নিয়ম। তারা সেসব প্রশিক্ষণ নিয়ে যথাযথ উপায়ে গবাদি পশু পালন করছেন। এ ছাড়া উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে উঠান খামার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এলাকায় নারীদের স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতা তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের নারীদের দিয়ে হস্তশিল্প তৈরি করিয়ে স্যুভেনির হিসেবে বিক্রির চেষ্টা করছেন তিনি। ‘র’ (আদি) নামে ফেসবুক পেজে সেসব হস্তশিল্প বিক্রি হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন রিসোর্টে আসা অতিথিরাও তা কিনে থাকেন। তারা এখন হরগোজ পাতার চা তৈরি ও প্যাকেজিং করতে জানেন। সেসব চা ও রিসোর্টের অতিথিদের কাছে বিক্রি করেন। এ ছাড়া তারা তরমুজক্ষেতে কাজ করেন। ঢাকা থেকে প্রশিক্ষক নিয়ে গিয়ে বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল তোলা পর্যন্ত সমস্ত প্রশিক্ষণও তাদের দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্লক, বাটিকের কাজও শেখানো হয়েছে। পলিথিন বর্জনে পাটশিল্প নিয়ে কাজ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি প্রশিক্ষণও হবে সামনে, জানালেন আঁখি। সুন্দরবন ইমপ্যাক্ট জোনে সুন্দরবনকে রক্ষা করে কীভাবে পর্যটন এগিয়ে নেওয়া যায় এবং আরো কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও মতবিনিময় সভা করেছেন।

এমনকি গ্রামের প্রান্তিক মানুষগুলোর আহরিত মধু, মাছ, কাঁকড়া ইত্যাদি বাজারজাতকরণেও তিনি তাদের সহযোগিতা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। যখন দেখলেন, মৌয়ালরা অনেক কষ্ট করে মধু আহরণ করছেন, কিন্তু ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, তখন তিনি নিজে অনলাইন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে মধ্যস্থতাকারীদের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে মধু বিক্রিতে সহযোগিতা করতে শুরু করলেন। তিনি নিজেও বনবিভাগের অনুমতিক্রমে মৌয়ালদের সঙ্গে মধু আহরণ করতে যান। তার এই ভালোবাসার জন্য তাকে অনেককেই ‘মধু আপা’ বলে ডাকেন।

সবুজ পাঠশালা

‘গ্রিন ভয়েস’ নামে একটি সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে সুন্দরবনে ‘সবুজ পাঠশালা’ নামে একটি স্কুল তৈরি করেছেন আঁখি। সেই পাঠশালার শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতি সচেতন হচ্ছে।

করোনা মহামারিতে অবদান

করোনার সময় ঘর থেকে যখন কেউ বের হতেন না, তখন আঁখি এগিয়ে আসেন নারীর প্রয়োজনে। সবার মধ্যে এক হাজার প্যাড বিতরণ করার ব্যবস্থা করেন তিনি।

পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ সুরক্ষার কথা ভেবে আঁখি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেন। পরিকল্পনা এক লাখ গাছ লাগানোর। এ উদ্যোগ সফল করতে যুক্ত হন ‘ফলদ বাংলাদেশ’ ও ‘গ্রিন ভয়েস’ সংগঠনের সঙ্গে। গাছ কিনে, ভ্যানে করে ছুটে চলেন শহরে, গ্রামে, মানুষের বাড়িতে। লবণাক্ত পানির জন্য সুন্দরবনে ফলের গাছ হয় না। কিন্তু বাড়ির উঠোনে যেন মানুষ ফলের গাছ লাগাতে পারেন, সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেন। ফলদগাছের পাশাপাশি রোপণ করেন কদম, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুলসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ।

বনবিবির উৎসব

সুন্দরবনের মানুষ বনবিবি দেবীকে উৎসর্গ করে বনবিবির উৎসব করেন। সেই উৎসব সেখানের সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণেই হয়ে থাকে। উৎসব উপলক্ষে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রথম সংসার ভাঙার এক যুগ পর আঁখি যাকে বিয়ে করেছিলেন, তার সঙ্গে মিলে সুন্দরবনের মানুষের জন্য বনবিবির থান তৈরি করেন। সেখানে পুঁথিপাঠের আসর বসে। আঁখি স্বপ্ন দেখেন, এই বনবিবির উৎসব একদিন ইউনেসকো হেরিটেজের স্বীকৃতি পাবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

নোনাভূমি গানের দল এবং সংস্কৃতি রক্ষা

শিকড়ের গান যাতে হারিয়ে না যায়, তাই তিনি সুন্দরবনের গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রতিভা খোঁজেন এবং তাদের নিয়ে শুরু করেন ‘নোনাভূমি’ গানের দল। তারা বনবিবির গান, পটের গান গায়, পুঁথিপাঠ করে। বিভিন্ন রিসোর্টে গান গেয়ে উপার্জন করে।

সংস্কৃতি রক্ষার অংশ হিসেবে একবার কবি গানের আসর বসান তিনি। সেই আসরে দশ হাজার মানুষ ধান কাটা মাঠে বসে শীতের মধ্যরাত পর্যন্ত গান শুনেছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে নারী কবিদের নিয়ে গিয়ে আয়োজন করেন বর্ষা উৎসবের। বর্ষাকালের খাবারের আয়োজন করা হয় তখন, বর্ষায় কী কী ফুল ফোটে সেসব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়, সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা তো আছেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা

যাদের বয়স ৪০-এর ওপরে, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পেইন এবং মতবিনিময় সভা করেন আঁখি। এতে সুন্দরবনের মানুষদের স্বাস্থ্যসচেতনতা তৈরি হয়। আঁখি বলেন, ‘সুন্দরবনের পানি নিয়ে যদি কেউ কাজ বা গবেষণা করতে চান, তাহলে উপকার হয়। কারণ, এখানের লবণ পানিটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’

পর্যটন দিবস পালন

রাস্তায় র‌্যালি হতে আমরা সব সময়ই দেখি। কিন্তু পর্যটন দিবসে আঁখি সুন্দরবনে শব্দবিহীন নৌ-র‌্যালির আয়োজন করেন।

পর্যটন সম্প্রসারণ স্কুল

তিনি পর্যটনশিল্পের প্রসারে একটি স্কুল তৈরি করেছেন, যেখানে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষক যায়, নিজেদের সম্পদ রক্ষণ করা থেকে শুরু করে পর্যটকদের সঙ্গে আচরণ, এমন বিভিন্ন জিনিস সেখানে শেখানো হয়।

তার একটি প্রাকৃতিক ও বোট স্কুল করারও পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে স্কুল নিজেই যাবে বাচ্চাদের কাছে!

কর্মশালা এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাণ

বাঘ রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করতে ‘টাইগার নাজির’ নামে খ্যাত বাঘের চিত্রকরকে দিয়ে তিনি সুন্দরবনে বাঘের ছবি আঁকা কর্মশালা করেন। সেখানে প্রশিক্ষণ দিতে চারুকলার শিক্ষার্থীরাও যান। সুন্দরবনের মানুষদের আঁকা সেসব বাঘের ছবি বিক্রির ব্যবস্থাও করছেন আঁখি। এ ছাড়া সুন্দরবনের ঐতিহ্য রক্ষায় তিনি দেশীয় ও বিদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দিয়ে চারটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র তৈরি করান, যেখানে সুন্দরবনের মানুষরাই অভিনয় করেছেন। সেসব চলচ্চিত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে।

রক্তদান

আঁখি একজন ভীষণ নিবেদিত রক্তদাতা। তিনি বিভিন্ন রক্তদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেন। রক্তদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোনার ক্লাব ‘বাঁধন’ তাকে পুরস্কৃত করেছে। এ পর্যন্ত তিনি ৫৭ বার রক্ত দিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সহযোগিতা করেছেন।

অনন্য উদ্যোগ ‘ফুডব্যাংক’

খুলনা শহরে একটা উদ্যোগ নেন আঁখি। প্রতি রাতে রেস্তোরাঁগুলোয় যে খাবার বেঁচে যায়, সব এনে একটা জায়গায় জমা করা হয়। জায়গাটির নাম দেন ‘ফুড ব্যাংক’। তারপর সেই খাবার অভুক্ত, দরিদ্র, পথে শুয়ে থাকা মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

বাল্যবিয়ে রোধ

বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধেও সোচ্চার আঁখি। খুলনার বাঘমারা, ফুলতলা গ্রাম, মহেশ্বর পাশা, খালিশপুরসহ আরো বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করছেন। সুন্দরবনের ঢাংমারি গ্রামে বাল্যবিয়ে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। তার অজান্তে বিয়ে হয়ে গেলেও সেই কিশোরীর লেখাপড়া তিনি বন্ধ হতে দেন না।

সুন্দরবনের নারী

আঁখি যেন সুন্দরবনেরই নারী, সেখানকার মানুষজনের পরম আত্মীয়। ঝড় ‘রিমলি’তে যখন সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে শহর বা উপশহরের দিকে ছুটছিল, তখন আঁখি উল্টো ঢাকা থেকে ছুটে গিয়েছিলেন সুন্দরবনে। সেখানে গিয়ে মেডিকেল ক্যাম্প করে ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানি পরিশোধনের ওষুধ দিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রাস্তাঘাট ও বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন। অসীম ভালোবাসা না থাকলে এটা কী সম্ভব!

নতুন উদ্যোগ

নতুন করে দুটি প্রস্তাবিত সমিতির কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে জানান আঁখি। একটি কৈলাশগঞ্জ শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড, আরেকটি বানিশান্তা শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড। সেখানে পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটিয়ে, ইকো ভিলেজ তৈরি করে সুন্দরবনের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন তিনি।

হাওরের সমস্যা ও সংকট নিরসন

সুন্দরবন নিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন আঁখি। তবে তিনি এখন ‘দি আর্থ সোসাইটি’র সঙ্গে শুরু করেছেন হাওরের সমস্যা ও সংকট মোকাবিলার কাজও।

সুন্দরবন দিবসে ক্যাম্পেইন

এবার সুন্দরবন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ‘রিস্টোর ন্যাচার, হেরিটেজ অ্যান্ড কালচার রিভাইভ হিউমিনিটি’ স্লোগানে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছেন আঁখি, যার থিম লাইন ‘দি গ্রিন হুইল ফর চেইঞ্জ’। কারণ, তিনি হুইলচেয়ারে করেই সুন্দরবনসংলগ্ন বিভিন্ন স্কুলে পুরো ক্যাম্পেইনটা করবেন।

লেখালেখি

মানবিক এই নারী শুধু সমাজকল্যাণমূলক কাজেই জড়িত নন, তিনি একজন লেখকও। এ পর্যন্ত তার ১৬-১৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ বইমেলায় পাঠক সমাবেশ থেকে কাব্যগ্রন্থ ‘ডাহুকের ডান পা’ এবং দ্যু প্রকাশনী থেকে গল্পগ্রন্থ ‘নিরাপদে বেড়ে উঠি’ প্রকাশিত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ