০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০ পিএম | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
হাসিনার দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের জেরে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। ফেসিস্ট হাসিনা পালানোর ৬ মাস হলেও এখনো তিনি তার ভুল শিকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাননি। উল্টো পরিহাস করেছেন ছাত্র জনতার গণঅভ্যুাত্থান নিয়ে। ফেসবুকে প্রচারিত বক্তব্যে একবারের জন্যও নিজের ভুল শিকার করেন নি গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।হাসিনার দেওয়া বক্তব্যে ছিলো তার দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি উস্কানি। যাতে তিনি ছাত্র জনতার ওপর আওয়ামী লীগের দোসরদের লেলিয়ে দিয়েছেন। এমনটিই মনে করছেন নেটিজেনরা। হাসিনা আর মোদির ষড়যন্ত্রে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে। আবু বকর সিদ্দিক নামের একজন গাজীপুরের ঘটনাকে টেনে এনে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, গাজীপুরের ঘটনা দিয়ে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এর জন্য দায়ী ফেসিস্ট হাসিনা। তমা নামের একজন লিখেছেন, হাসিনা ও মোদির ষড়যন্ত্রের ফসল গাজীপুরের ঘটনা। সকলের উচিৎ সাবধান হওয়া।
হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পর থেকেই মোদির সাথে মিলে নানা কুটচালে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিও যেনো হাসিনাকে ছাড়া অচল। দুজনে মিলে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন দেশ নিয়ে। বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির সব পরিকল্পনাই করছেন তারা। এতে ব্যবহার করছেন ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমগুলোকে। তাদের মাধ্যমেই নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ও তার সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
হাসিনা যত চেষ্টাই করুক না কেন, বাঙালীর মনে গত ১৬ বছরে যে দাগ কেটেছে তা মুছবে না কখনোই। ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ হত্যাকারী হাসিনার বিচার চায় এদেশের মানুষ। তার ফেরার কথা চিন্তা করা এখন দিনের বেলায় চাঁদ দেখার মতোই অসম্ভব বলে মনে করেন নেটিজেনরা।