শেখ হাসিনা যেমন বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়েছেন, তেমনই আওয়ামী লীগেরও বারোটা বাজিয়েছেন। এটি তিনি করেছেন খুব ঠান্ডা মাথায়, সুপরিকল্পিতভাবে।
তার পিতার হত্যাকাণ্ডের পরে ১৯৭৫ সালে যখন তিনি রাজনীতিতে আসেন, তখনই তার মূল কথা ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। তার বাবা হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই রাজনীতিতে আসেন তিনি। শুধু বাংলাদেশের জনগণের না, আওয়ামী লীগেরও তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যার পর শহরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আল্লামা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে
আওয়ামী লীগের নেতারাই জড়িত ছিলেন। শেখ হাসিনা ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করেছেন তার বাবার হত্যাকারীদের উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য।
সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে শেখ হাসিনা দলীয়করণ করেছিলেন। ডিজিএফআই, এনএসআই-সহ গোটা প্রশাসনকে অন্য সব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিলেন। আমার বিরুদ্ধেও লেলিয়ে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা অনুমান করতে পেরেছিলেন তার রাজনীতির বারোটা বেজে গিয়েছে। যখন তিনি নিশ্চিত হয়েছেন সময় ফুরিয়ে এসেছে, তখন তিনি নিজের দলকে রক্ষা না করে ছাত্রজনতার ওপর হেলমেট বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। তলে তলে ১৪টি লাগেজ গুছিয়ে দেশটাকে ধ্বংস করে একপর্যায়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, খুনের আসামি হাসিনাকে
বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
গণসমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হুসাইন আহমাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা শারাফত হুসাইন, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান প্রমুখ।