বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

২০১৩ সাল ছিল আওয়ামী লীগের হত্যার মহোৎসব: প্রেস সচিব

রিপোটারের নাম / ৯৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৩৪
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৫৪

২০১৪ সালের নির্বাচনকে নির্বিঘ্নে করার জন্য ২০১৩ সাল ছিল আওয়ামী লীগের গুম ও খুনের এক মহোৎসব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদোষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে “ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আওয়ামী সরকার শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে” শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, পতিত আওয়ামী সরকার বরাবরই হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কৌশল অবলম্বন করেছিল। ২০১৩ সালে হেফাজতের ওপর ক্র্যাকডাউন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সরকার নিজেদের জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রমাণের চেষ্টা করেছে। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী তকমা দিয়ে ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে গুম ও খুন করাই ছিল পতিত সরকারের অন্যতম কৌশল।

শফিকুল আলম বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কাভার করা ছিল আমার সাংবাদিকতা জীবনে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেই রাতে বারাকাহ, ইসলামী হাসপাতাল ও সিদ্ধিরগঞ্জের হাসপাতালগুলোতে গুলিবিদ্ধ অনেকের লাশ পাওয়া গেলেও সরকার তা স্বীকার করেনি। হেফাজতের সমাবেশে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক তথ্য আমরা এখনো জানতে পারিনি। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম নিজেরাও প্রকৃত আহত ও নিহতের তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ৫ মে গভীররাতে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ঘুমন্ত মুসল্লিদের উপর এই বর্বর গণহত্যার বিচার এখন সময়ের দাবি।

এদিকে, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে ৫ দফা সুপারিশ করা হয়। ১. হেফাজতের সমাবেশে নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনের লক্ষ্যে অতি দ্রুত একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা। ২. শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডে নির্দেশদাতাসহ জড়িতদের নাম প্রকাশের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা ৩. বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে শাপলা চত্বরের নিহত ও আহত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা ৪. গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে নিহত ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন করা ৫. নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।

এসময় তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা বিতার্কিকদের পরাজিত করে তানযীমুল উম্মাহ আলিম মাদরাসার বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, এডভোকেট মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ